আমি আছি
বাস এলো যথা সময়ের একটু পর ই। নীলার হার্ট বিট বেড়ে গেলো। সবে মাত্র প্রফ পরীক্ষা দেয়া মেয়েটার ফাইনাল এক্সাম হলেও এতটা টেনশন লাগেনি। কিন্তু একে একে বাসের সবাই নামলো দৃক কে দেখা গেলোনা। সেই বাসে আসেনি দৃক। হঠাত যেনো নীলার পৃথিবী অন্ধকার হয়ে এলো। ফোনের পর ফোন আর এসএমএস। দৃকের ফোনটা কিন্তু অন ই আছে। কিন্তু রিসিভ ও হচ্ছেনা, রিপ্লে ও আসছেনা। হঠাত একটা রিপ্লেতে নীলার মাথায় বাজ পড়লো – “আমি মাঝ পথে ফিরে গেছি। আর আসবোনা কখনো। বাবার পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করলেই সুখী হবে তুমি।”
তারপরই ফোনটা অফ। আর কোনদিন অন পায়নি সেই ফোনটা। মাত্র কটা কথা যা নীলার জীবন এলোমেলো করার জন্য যথেষ্ট। তারপর নীলার ভাবনার আকাশে মেঘবোনে- যার মুখের দিকে তাকিয়ে সারা পৃথিবীকে পর করার জন্য রাজি ছিলো সে। যার হাত ধরার জন্য নিজের সর্বস্ব ছারতে রাজি ছিলো, সেকি সত্যি ঠকালো? পৃথিবীর কোন কিছুই আর বিশ্বাস যোগ্য নয়। তারপর আরো ১ টা বছর কোন যোগাযোগ নেই। ১ বছর আর বাড়িও যায়নি নীলা। যেখানে একটু দুরেই দৃকদের বাড়ি। ১ বছর পর বাড়ি এলো নিজের বিয়েতে। বাবার পছন্দের সুপাত্র। হয়তো এমনটাই চাইতো ভবঘুরে দৃক। তাকে এই এক বছর ফেইসবুকেও পাওয়া যায়নি। নীলার খুব জানতে ইচ্ছা করে পরিবার, বন্ধু সবার অগোচরে তার যে প্রেমিক ছিলো সে আজ কোথায়? কেমন আছে? নানা ইতস্তত শেষে এক বন্ধুকে জিগেস করেই ফেলে।
জানা গেলো সে নাকি ৩ দিন ছিলো নিখোঁজ। তারপর তার অর্ধপচা লাশটা পুলিশ উদ্ধার করে এক হাইওয়ে রেস্তোরার পাশের গর্তে। কিন্তু কেউ জানেনা ঢাকায় থাকা ছেলেটা কয়েকশো কিমি দূরে অই হাইওয়ে রেস্টুরেন্টে মধ্যরাতে ছিনতাইকারির কবলে কি করে পড়লো। হয়তো নীলা জানে........................।।
(written by Tajim…30 March, 2016)
..................................................................................
Click here for the Facebook Post.
No comments